এ কে আজাদ : [২] প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের শুরুতেই সারাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 [৩] গত সোমবার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ৮-১০ টি হামলা. সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় আক্রান্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের দায়ী করেছেন।

[৪] মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপের পক্ষে প্রচারে গিয়ে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘নৌকার বাইরে গলা উঁচিয়ে কথা বললে, গলা নামিয়ে দেবো’।

[৫] জামালপুরের-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে। 

[৬] ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষের প্রচারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকেরা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর প্রচারপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

[৭] যশোর-১ (শার্শা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমসহ তার ১০ কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশরাফুল আলমকে উদ্ধার করে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। 

[৮] জয়পুরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী গত সোমবার রাতে দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফটকে অবস্থান নেন। তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সমর্থকেরা সোমবার বিকেলে কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের মারপিট করেছেন। শওকত হাবীব তালুকদারকে হত্যার চেষ্টাসহ নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর এবং ১২ হাজার পোস্টার লুট করা হয়েছে। 

[৯] পাবনা-১ (সাঁথিয়া- বেড়া আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাড়িবহর আটকে নেতা-কর্মীদের মারপিট করার ঘটনায় তাঁর সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। 

[১০] কুষ্টিয়া-৪ ( খোকসা-কুমারখালী) স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রউফ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফের সমর্থকেরা তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন ও তাঁর কুমারখালীর বাসায় হামলা চালিয়েছেন।

[১১] ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং ওরফে মুরাদ এবং আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। স্বতন্ত্র এ দুই প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

[১২]টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের নির্বাচনী সভা এবং গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার জন্য ইউনুস আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের অনুসারীদের দায়ী করেছেন। 

[১৩] নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুসের দুই সমর্থককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী